Thank you for trying Sticky AMP!!

ফেনীতে ব্যবসায়ী কায়সার হত্যায় স্ত্রী শাহনাজের যাবজ্জীবন

ফেনীতে স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহনাজ আক্তার। বৃহস্পতিবার সকালে আদালত আঙ্গিনায়

ফেনীতে ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তাঁর স্ত্রী শাহনাজ আক্তারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহনাজ আক্তার এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

পিপি ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ তাঁর স্ত্রী শাহনাজ আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। রাত নয়টার দিকে বাসায় ফেরার পথে ফেনী শহরের ফালাহিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন কবরস্থানের পাশে দুর্বৃত্তরা কায়সারের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে কায়সার মারা যান। কায়সার মাহমুদের ওপর হামলার সময় স্ত্রী শাহনাজ আক্তার তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

নিহত ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ

এ হত্যাকাণ্ডের পরের দিন নিহত কায়সারের বাবা আবুল খায়ের বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় কায়সারের স্ত্রী শাহনাজ ও হারুন নামের একজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাহনাজকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল স্ত্রী শাহনাজ একাই তাঁর স্বামীকে খুন করেন বলে তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামি হারুন ওই বছরের ৩০ অক্টোবর দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন ২০১৫ সালের অক্টোবরে একমাত্র আসামি শাহনাজ আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান কবির রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা যথাযথ রায় পাইনি। রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’