বগুড়ায় কোভিডে পাউবোর সাবেক মহাপরিচালকের মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন আরেকজন

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

বগুড়ায় কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সাবেক একজন মহাপরিচালক মারা গেছেন। এ ছাড়া এই রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অবসরপ্রাপ্ত একজন স্বাস্থ্য সহকারী। আজ মঙ্গলবার সকালে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ২০ মিনিটের ব্যবধানে তাঁদের মৃত্যু হয়।

ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে আজ সকাল আটটার দিকে পাউবোর সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ (৬৮) মারা যান। তাঁর বাড়ি নওগাঁ শহরের পোস্ট অফিসপাড়া মহল্লায়। তিনি রাজধানী ঢাকায় সপরিবারে বাস করেন। গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করতে ৭ জুলাই তিনি ঢাকা থেকে নওগাঁয় এসেছিলেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা। গেছে।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে ১২ জুলাই আবুল কালাম আজাদ নওগাঁতেই নমুনা দেন। ২০ জুলাই প্রতিবেদনে পজিটিভ আসে। করোনাভাইরাস শনাক্তের পর ওই দিন রাতেই তাঁকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল আটটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

অন্যদিকে, কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ নিয়ে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ইশরাক আলী (৬২) নামের এক ব্যক্তি। আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দিনাজপুরর জেলার বিরামপুর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহকারী।

হাসপাতালের প্রশাসন সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জুন ভর্তি হন। করোনা পরীক্ষার জন্য ওই দিন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার আগেই আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত বগুড়ায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫৫৫ জনের শরীরে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০০ জন।