
বগুড়ার কাহালু উপজেলার জয়তুল গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সেকেন্দার আলী (৫০) নামের একজন মৎস্য খামারি খুন হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি জয়তুল গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন।
এদিকে সেকেন্দার আলীর মারা যাওয়ার খবর গ্রামে পৌঁছানোর পর আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চারটি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে দেন তাঁরা। পরে কাহালু থানার পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুনে জয়তুন গ্রামের রাকিব হোসেন, মোস্তফা আলী, জিহাদ ও নজরুল ইসলামের চারটি বাড়ি ছাড়াও একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমবার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজন সেকেন্দার আলীকে ছুরিকাঘাত করেন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা যান। এ খবর এলাকায় পৌঁছালে সেকেন্দার আলীর সমর্থকেরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চারটি বাড়িতে আগুন দেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাহালু ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি সেখানে গেলে লোকজন তাদের গতি রোধ করেন এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের আগুন নেভানোর কাজে বাধা দেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো থানায় কেউ মামলা করেননি।