ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা: নারায়ণগঞ্জের এসপি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জেলা পুলিশের আয়োজনে ব্রিফিং প্যারেডে বক্তব্য রাখছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর পুলিশ লাইনস মাঠে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তারসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবেন। নারায়ণগঞ্জবাসীর চাওয়া একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এটি নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কাউকে ভোটকেন্দ্র দখল ও ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় থাকবে।

এসপি বলেন, বহিরাগত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যাঁরা ১৮ বছরের ওপরে নারায়ণগঞ্জ থেকে বের হবেন, তাঁদের এনআইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। নির্বাচনে দুষ্কৃতকারী–সন্ত্রাসী কাউকে প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সারা দেশে মডেল নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুরের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে জায়েদুল আলম বলেন, পুলিশ কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছে না, কাউকে হয়রানি করছে না। সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি প্রার্থীকে তালিকাসহ তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানান।

আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের মেয়র পদে সাত প্রার্থী, কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার কাল ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।