মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের প্রধান ফটকের ভেতরে কোনো ধরনের খাবার ও প্লাস্টিক দ্রব্য নিয়ে ঢোকা যাবে না। জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের পরিবেশ রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনার সাইনবোর্ড স্থাপন করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এ সময় বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, সহকারী বিভাগীয় বন সংরক্ষক এস এম আবু বক্কর সিদ্দিক, বড়লেখার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাইনবোর্ড স্থাপনের সময় কবির বিন আনোয়ার পর্যটক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীকে মাধবকুণ্ডের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রক্ষায় সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে মাধবকুণ্ডের খ্যাতি শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে। শুধু প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের বিনোদনের জন্য নয়, এখানকার বন্য প্রাণী, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায়ও জলপ্রপাত এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে অনেক পর্যটক আসেন। পর্যটকেরা ইকোপার্কের প্রধান ফটকের ভেতরে বিভিন্ন খাবার ও খাবার মোড়ানো প্লাস্টিক দ্রব্য নিয়ে ঢোকেন। অতিরিক্ত খাবার, পলিথিনসহ নোংরা জিনিস যত্রতত্র ফেলে রাখেন। এতে পর্যটন এলাকার বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তূপ হয়ে যায়।
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, মাধবকুণ্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বছরজুড়ে দেশি পর্যটক ছাড়াও অনেক বিদেশি পর্যটক আসেন। এখানকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটা গতকাল বিকেল থেকেই কার্যকর হয়েছে।