রাজশাহীতে বিআরটিসি বাসের চাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বিআরটিসি বাসের চাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের বাঁশলীতলা এলাকায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের সাজু মিয়া (৪০) ও তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ আলিফ (১২)। সাজু মিয়া এনজিওর চাকরি সূত্রে গোদাগাড়ীতে থাকতেন। তাঁর ছেলে আলিফ রাজাবাড়ী হাট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে আবদুল্লাহকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন তাঁর বাবা সাজু মিয়া। বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী একটি বিআরটিসি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাবা-ছেলেকে চাপা দেন। এতে ঘটনাস্থলে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বাবা ছেলেকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার সময় মোটরসাইকেলে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বাসচাপায় দুজনই মারা যান। বাসটির সামনের অংশ ভেঙে গেছে। তবে বাসের কেউ আহত হননি।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজশাহী নগরে শালবাগান ওয়াসা অফিসের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে বাসচাপায় নাজমুল হোসেন (৩৫) নামের এক পল্লিচিকিৎসকের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
নিহত নাজমুল হোসেন তানোর উপজেলার বিল্লিবাজার এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মোকছেদ আলী। তানোরের বিল্লিবাজারে নাজমুলের ফার্মেসির দোকান আছে।