Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংবাদিক বুরহান হত্যাকে ‘ষড়যন্ত্রের অংশ’ বললেন কাদের মির্জা

সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন হত্যার ঘটনায় শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে বক্তব্য দেন আবদুল কাদের মির্জা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট রূপালী চত্বরে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন হত্যার ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে দাবি করেছেন বসুরহাট পৌর মেয়র ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। ১৪৪ ধারা শেষে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে সাংবাদিক বুরহান হত্যার ঘটনায় শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল থেকে তিনি এ অভিযোগ করেন।

শোকসভায় প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তৃতায় কাদের মির্জার বেশির ভাগ কথাই ছিল নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও-ওসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় তাঁর প্রতিপক্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে।

সাংবাদিক হত্যা নিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছি, যখন শুনেছি আমার এখানে আমাকে অথবা আমার কর্মীদের কাউকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই মুজাক্কিরকে (বুরহানের ডাকনাম) সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মুজাক্কির হত্যার শিকার হয়েছে। এই হত্যার বিচার করতে হবে।’ কাদের মির্জা দাবি করেন, সংঘর্ষের দিন যদি তাঁদের হাতে অস্ত্র থাকত, তাহলে তাঁর পক্ষের ৭০-৮০ জন আহত হতেন না। সবাই গুলিবিদ্ধ।

কাদের মির্জা বলেন, ‘সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির সেদিন চাপরাশিরহাটে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। সে অত্যন্ত ভদ্র একটি ছেলে ছিল। আমাকে খুবই সম্মান করত। আমিও তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতাম। আজকে কষ্ট লাগছে, ছেলেটাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট, এই সাংবাদিকের হত্যার সুষ্ঠু বিচার যদি না করা হয়, কোম্পানীগঞ্জে আগুন জ্বলবে।’ তিনি বলেন, ‘মুজাক্কির হত্যাকারী যে–ই হোক, যদি তদন্তে আমার নামও আসে, আমি কারও নাম বলব না যে অমুক করেছে। তদন্তটা আপনারা ডিজিএফআই ও এনএসআইতে দেন। তারা বাংলাদেশের সত্য ঘটনাগুলো আজকে তুলে ধরছে। তারা সত্যিকারের অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে।’

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সোমবার বিকেলে রূপালী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করেন আবদুল কাদের মির্জা। তবে প্রশাসনের বাধায় শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন করতে পারেননি তিনি। ১৪৪ ধারা শেষ হওয়ার পর তিনি সভা করেন।

গত শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওরফে বাদলের অনুসারীদের সঙ্গে কাদের মির্জার অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও চিত্র ধারণকালে সাংবাদিক বুরহান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বুরহানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সাংবাদিক বুরহান না–ফেরার দেশে চলে যান।

Also Read: ১৪৪ ধারা ভেঙে সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা কাদের মির্জার, প্রশাসনের বাধা