আন্তর্জাতিক জলবায়ু কর্ম দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে জলবায়ু ধর্মঘট পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দেশের পরিবেশকর্মী ও শিক্ষার্থীরা নাগরিক সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এই ধর্মঘট পালন করে। এসব কর্মসূচিতে দেশের সব নদী ও জলাশয় রক্ষার দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে সারা দেশে আয়োজিত জলবায়ু ধর্মঘটের উদ্বোধন করেন জাতীয় নদী জোটের আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদ। এ সময় অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাপার যুব কর্মসূচির সদস্যসচিব রাওমান স্মিতা, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ন কবির ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর প্রকল্প সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান। এ সময় দেশের নদী রক্ষায় আদালতের রায়সমূহ যথাযথভাবে মেনে দেশের সব নদী ও জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়।
সারা দেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচির দাবিগুলো কক্সবাজারের দরিয়া নগর সমুদ্র সৈকত থেকে তুলে ধরেন বাপার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। বাপা কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে শুকনাছড়িতে প্রশাসনিক একাডেমির জন্য ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দ ও কোহেলিয়া নদীর শ্রেণি পরিবর্তন করে নদী ভরাটের প্রতিবাদ জানানো হয়।
টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও পায়রা-বিষখালি-বলেশ্বর মোহনা রক্ষার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে শুভসন্ধ্যা সৈকতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আন্ধারমানিক ইলিশ অভয়ারণ্য রক্ষার দাবিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মানববন্ধন, শিল্প-দূষণের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে মোংলায় মানববন্ধন করা হয়।
টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন, ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদী রক্ষার দাবিতে মাননবন্ধন এবং জয়পুরহাটের জিরো পয়েন্টে অবৈধ বালি উত্তোলন ও অপরিকল্পিত নদী খননের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।