
ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা সিলেটের তিনটি সীমান্ত নদ-নদীর মধ্যে দুটোর পানি ফুঁসছে। গতকাল রোববার ধলাই নদের পর আজ সোমবার বাড়ছে সারী নদীর পানিও। তবে অপর সীমান্ত নদী লোভাসহ প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কমছে।
আজ দৈনিক পানির স্তর পরিমাপ থেকে পাওয়া এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার। সিলেটে সীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিত সারী, ধোলাই ও লোভার পানির স্তর পরিমাপ করা হয়।
সারী নদীর উৎসমুখ জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল। সেখান থেকে নদীটি উপজেলার সারীঘাট হয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন নদীর সঙ্গে মিশেছে। ধলাই নদের উৎসমুখ এলাকা ভোলাগঞ্জের ‘সাদা পাথর’ পর্যটনকেন্দ্র। সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল লুংলংপুঞ্জি ও শিলংয়ের চেরাপুঞ্জি। বর্ষকালে সেখান থেকে একটি পাহাড়ি ঝরনা দিয়ে পানি নেমে আসে ধলাই নদে। লোভা নদী কানাইঘাটের লোভাছড়া থেকে নেমে সুরমায় মিশেছে।
পাউবো জানায়, সিলেটের সীমান্ত উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর পয়েন্টে ধলাই নদের পানির প্রবাহ পরিমাপ করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে ৮ দশমিক ৮৪ মিটার উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল সকালে পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। দুপুরে ৮ দশমিক ৯৮ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আজও নদে পানি বাড়ছিল। দুপুর ১২টায় ৯ দশমিক ১১ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
সারী নদীর সারীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ মিটার। সেখানে ৯ দশমিক ৩২ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বাড়া শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে। পানির স্তর পরিমাপ তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ছয়টায় পানির উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক ৪০ মিটার। দুপুর ১২টায় তা বেড়ে ৯ দশমিক ৫০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ধলাই ও সারীর পানি বাড়লেও কমছে লোভা নদীর পানি। গতকাল সকালে লোভার পানি লোভাছড়া পয়েন্টে ১২ দশমিক ৫৯ মিটার ছিল। গতকাল দুপুরে তা নেমে ১২ দশমিক ৫৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকালে আরেক ধাপ কমে ১২ দশমিক ৪২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়।
লোভার পানি কমায় সুরমার সঙ্গে সংযোগ অংশ কানাইঘাটে পানি কমছে। আজ সকাল ও দুপুরের পরিমাপ অনুযায়ী সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বেড়ে আবার কমেছে। সকালে ১১ দশমিক ৩৫ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুপুরে ১১ দশমিক ৩০ মিটারে নেমে আসে। একই সময়ে সুরমার সিলেট শহর পয়েন্টে সকালে পানি ২ সেন্টিমিটার কমে ৮ দশমিক ৯০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়।
কুশিয়ারার উৎসমুখ জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদ পয়েন্টে পানি ১৪ দশমিক ২৪ মিটার থেকে নেমে ১৩ দশমিক ৮৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর মধ্যবর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেড়ে আবার কমেছে। আজ সকাল ৬টা, ৯টা ও দুপুর ১২টায় তিনটি পরিমাপে পানি ৯ দশমিক ১৭ মিটারে স্থির ছিল।