
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্কুলে যাওয়ার রাস্তা পার হতে গিয়ে মোমাশ্বিয়া ইসলাম আখন্দ (৬) নামের এক স্কুলছাত্রী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে। স্থানীয় লোকজন অটোরিকশার চালক সুমন মিয়া চৌধুরীকে আটক করেছেন।
নিহত মোমাশ্বিয়া কসবা উপজেলার চাপিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান আখন্দের মেয়ে। সে স্থানীয় চাপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিহত শিশুর লাশ কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। অটোরিকশার চালক সুমন কসবা পৌর শহরের শাহপুর এলাকার খোরশিদ চৌধুরীর ছেলে।
হাসপাতাল, নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বস্তা আলু নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি কসবা থেকে আখাউড়ায় যাচ্ছিল। চাপিয়া এলাকায় আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মোমাশ্বিয়া বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল। সে রাস্তা পার হওয়ার সময় অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন চালক সুমনকে আটক করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গেছে।
খবর শুনে মোমাশ্বিয়ার মা হাজেরা বেগম হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তাঁকে পৌর শহরের ইমামপাড়ায় বাবার বাসায় নেওয়া হয়। শিশুটির বাবা হাফিজুর রহমান আখন্দ বলেন, তাঁর মেয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। অটোরিকশার নিচে পড়ে মেয়ের প্রাণটা গেল।
চাপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজির আহাম্মদ তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।