Thank you for trying Sticky AMP!!

হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছে ধর্ষণের শিকার শিশুটি

ধর্ষণ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নে ১২ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতের এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একরামুল হোসেন (২০) নামের এক ইটভাটাশ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটি হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। শিশুটির কষ্ট দেখে পাশে বসে থাকা তার ভাবিও কান্নাকাটি করছেন।

হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ইহসানারা ইনা বলেন, শিশুটির গোপনাঙ্গে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আজ সকালে তার ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। রক্ষক্ষরণ হওয়ায় তার শরীরে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

শিশুটির ভাই প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মা অসুস্থ। রাতে তাঁকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীও মায়ের পাশে ছিলেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী একরামুল হোসেন তাঁর বোনকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাঁদের নির্মিতব্য বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে ভাবিসহ প্রতিবেশীরা দৌড়ে এলে একরামুল হোসেন পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহিন হোসেন বলেন, শিশুটিকে রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার গোপনাঙ্গে ক্ষত হওয়ার পাশাপাশি রক্ত ঝরছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, গতকাল রাতেই শিশুটির ভাই বাদী হয়ে ইকরামুল হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত একরামুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ ইকরামুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।