সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫৫ জন কর্মচারীর মধ্যে ৫১ জন চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘গণছুটিতে’ চলে যাওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকেরা। এর ফলে আজ রোববার সকাল থেকে দুই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ২১ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধর্মপাশা উপজেলা উপ-আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা ও মধ্যনগরের মোট ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায়। এখানে গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ৫১ হাজার। এর মধ্যে রোববার সকাল আটটা থেকে মধ্যনগরের চামরদানী, বংশীকুণ্ডা উত্তর ও বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ এবং বেলা তিনটা থেকে ধর্মপাশার জয়শ্রী ও সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরার ইউনিয়নে আউজগা বিকেল তিনটা থাইক্যা কারেন্ট নাই। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে কয় লোকজন নাই। তাইলে এই সমস্যার সমাধান কোন সময় অইব, এইডার জবাব পাইতাছি না।’
মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষিকা সায়মা খানম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে সকাল আটটা থেকে বিদ্যুৎ নেই। পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা দাবি আদায়ের জন্য গণছুটিতে চলে যাওয়ায় লাইন মেরামত করার লোকজন নেই। তাই রাতের বেলায় কুপিবাতি জ্বালাতে বাধ্য হয়েছি। দ্রুত এই অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানাচ্ছি।’
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধর্মপাশা উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে মোট ৫৬ জন জনবল রয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জন কর্মচারী চার দফা দাবি আদায়ে গণছুটিতে রয়েছেন। নিরাপত্তা প্রহরীসহ আমরা মাত্র পাঁচজন কর্মস্থলে আছি। পাঁচটি ইউনিয়নের বিদ্যুতের লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। কর্মীরা না থাকায় মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় ২১ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’