নবাবগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমুন আখতারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন মিয়া বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৩ সেপ্টেম্বর নাজমুন আখতারের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক জসিম উদ্দিন কমিউনিটি ব্যাংক নবাবগঞ্জ শাখার এক লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি চেক নিয়ে রাজধানীর গুলশান শাখায় টাকা তুলতে যান। ব্যাংক কর্মকর্তা চেকের ওপরে বিদ্যালয়ের সভাপতি নবাবগঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর নকল বলে সন্দেহ করেন। এ সময় তিনি বিভিন্নভাবে যাচাই করেন। স্বাক্ষর জালিয়াতির প্রমাণ মিললে জসিমকে আটক করে গুলশান থানা–পুলিশে দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসন নাজমুন আখতারকে বহিষ্কার করে।
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ে নাজমুন আখতারের কাগজপত্র রাখার লকার ভেঙে চেকবই উদ্ধার করে। এতে স্কুলের নামে খোলা দুই ব্যাংকের চেকবইয়ের আটটি পাতা নেই। তদন্তের তথ্য অনুযায়ী ২৫ আগস্ট আইএফআইসি ব্যাংকের একটি চেক ব্যবহার করে সাত লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় এবং কমিউনিটি ব্যাংকের হিসাব থেকে দুই দফায় মোট পাঁচ লাখ একাশি হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। তদন্ত কমিটি তিনটি চেকে মোট ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে।
মামলায় সাবেক অধ্যক্ষ নাজমুন আখতারের মেয়ে আশফিয়া রহমান ও গাড়িচালক জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে নাজমুন আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, পরিচালনা কমিটির নির্দেশে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। চেকবইয়ের আটটি পাতা পাওয়া যাচ্ছে না। আরও অনিয়ম বের হতে পারে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউএনও দিলরুবা ইসলাম বলেন, চেকবইয়ের আটটি পাতা পাওয়া যায়নি। তদন্তে আরও কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, তা বের হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে বিধিমতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।