ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) রইছ উদ্দিন। আজ শনিবার দুপুরে
ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) রইছ উদ্দিন। আজ শনিবার দুপুরে

চট্টগ্রামে পুলিশের ব্রিফিং

গুজব ছড়িয়ে শিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে

চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় গুজব ছড়িয়ে শিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে কিছু দুর্বৃত্ত চক্র। আজ শনিবার দুপুরে নগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) রইছ উদ্দিন।

রইছ উদ্দিন বলেন, দুই দিন ধরে দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী কিছু দুর্বৃত্ত চক্র বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে শিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নির্মাণাধীন ভবনের ফটকের ভেতরে ঢোকায় তিন শিশুকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।

গুজবের কারণে শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ভবনে ঢুকে ঘর ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন পুলিশের উপকমিশনার রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, শিশু হত্যার গুজব কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানা এলাকার বিভিন্ন কারখানার ২০০ থেকে ২৫০ শ্রমিক শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করে নির্মাণশ্রমিকদের ঘর ও বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর করেন। দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনীর যৌথ ভূমিকায় রাতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে ইপিজেডের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক আছে।

পুলিশ কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন আরও বলেন, যে তিন শিশুকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছিল, সেই তিন শিশুকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা পুলিশের তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় আছে। নগর পুলিশের ব্রিফিংয়ে সেই তিন শিশুকে হাজির করা হয়। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পষ্ট বার্তা হচ্ছে কোনো রকম মিথ্যা প্রচারণা ও গুজবে কান দেবেন না, রাষ্ট্রের ক্ষতি করবেন না, রাষ্ট্রের ক্ষতি মানে আমাদের সবার ক্ষতি। ইপিজেড আমাদের সবার সম্পদ।’