
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের ভেতর চলে যাওয়া বাংলাদেশের ১৫টি গরু ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গরুগুলো ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিজিবিকে ডেকে নিয়ে আখাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশিদের গরু চরাতে নিষেধ করে বিএসএফ।
বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল আটটার দিকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য গরু চরান বাংলাদেশের স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল আটটার দিকে সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা গরুগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এতে কোনো সাড়া দেননি। একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে বিএসএফের সদস্যরা গরুগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করেন। পরে বিএসএফের সদস্যরা বিষয়টি বিজিবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের বিওপি ক্যাম্পকে জানান।
আখাউড়া বিওপির ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল আমিনসহ বিজিবির সদস্যরা আগরতলায় সীমান্তে যান। সেখানে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ বৈঠকে গরুসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়। সে সময় বিএসএফের পক্ষে ৪২/এসিপি ক্যাম্প কমান্ডার এসআই অমিত ভার্মা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় তিনজন নারী বলেন, আগেও গরু চরানোসহ নানা কাজে এ জায়গাগুলো ব্যবহার করা হতো। কখনো কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু ইদানীং বিএসএফ প্রায় প্রতিদিনই গরু চরানোসহ কেউ গেলেই ডাকাডাকি করে। ওখান থেকে চলে যেতে বলে। এ বিষয়ে আজ সকালে বিএসএফ-বিজিবি কথা বলেছে। বিজিবি এসে গ্রামের সবাইকে ওই জায়গাতে গরু চরাতে নিষেধ করে গেছেন।
আখাউড়া বিওপির ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, বিএসএফ বাংলাদেশি গরু আটক করেনি। ঘাস খাওয়ার একপর্যায়ে গরুগুলো ভারতের সীমান্তে ঢোকে। বিএসএফ সদস্যরা বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। গরুগুলো ফেরত পাঠালে স্থানীয় বাসিন্দারা যাঁর যাঁর গরু নিয়ে এসেছেন।