
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় বিক্ষোভ ও বাধার মুখে নারীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বন্ধের পর ছেলেদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। নারীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে গত মঙ্গলবার উপজেলার বাওনা গ্রামের অস্থায়ী মাঠে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনার পর আয়োজক কমিটির মধ্যে এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
খেলার আয়োজক বাওনা ছাত্রকল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল প্রথম আলোকে বলেন, নারীদের ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও সংঘর্ষে আহত হওয়ার ঘটনায় তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ছেলেদের ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। টুর্নামেন্টটি আবার কবে হবে, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে সমিতির সদস্যদের নিয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় আলোচনার মাধ্যমে টুর্নামেন্ট হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপর সবাইকে জানানো হবে।
আয়োজক কমিটি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ২৫ ডিসেম্বর ১৬টি দলের অংশগ্রহণে ছেলেদের ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ওই দিন টুর্নামেন্টে প্রথম ও কোয়ার্টার পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে টুর্নামেন্টের মধ্যে এক দিন নারীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে কমিটি। সেখানে দিনাজপুর জেলা নারী ফুটবল একাডেমির সঙ্গে রংপুর বিভাগীয় নারী দলের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। পরে ওই ম্যাচ বন্ধের দাবিতে তৌহিদি জনতার ব্যানারে স্থানীয় লোকজন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
গত মঙ্গলবার নারীদের খেলা বন্ধ করতে মাঠে গেলে স্থানীয় লোকজন ও আয়োজক কমিটির পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আয়োজক পক্ষের ১৭ থেকে ১৮ জন ও তৌহিদি জনতার পক্ষের ৬ থেকে ৭ জন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় খেলার মাঠে সাজানো প্রায় ৪০০ চেয়ার, চারটি মাইক ও মাঠ ঘেরার কাজে ব্যবহৃত ১০টি পর্দার কাপড় নষ্ট হয়।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজন মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, নারীদের ফুটবল ম্যাচ ঘিরে সংঘর্ষের পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের নিয়মিত টহল অব্যাহত আছে। হতাহতের ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।