ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন । সোমবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন । সোমবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে

বগুড়া-৭ আসন

খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল, স্বাক্ষরের জায়গায় আঙুলের ছাপ

বগুড়ার গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে দলীয় প্রধানের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের (লালু) নেতৃত্বে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কাছে এই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। তবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে মনোনয়নপত্রে তাঁর স্বাক্ষরের বদলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ও গাবতলী পৌর বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

মনোনয়নপত্র দাখিলের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জানান তালুকদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ করছেন। মনোনয়নপত্রে খালেদা জিয়া স্বাক্ষরের বদলে তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়েছেন।

বগুড়ার গাবতলীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ি। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হন, তবে জয়ের পর প্রতিবারই খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচন হয়। তিনটি উপনির্বাচনে বিজয়ী হন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার। ২০০৮ সালের উপনির্বাচনে দলের স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য মওদুদ আহমদ জয়ী হন।

জেলা বিএনপির সূত্র বলছে, আসছে জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলেও একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন। আজ বিকেলে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি এই মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মোরশেদ মিল্টন বলেন, ‘দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তেই চেয়ারপারসনের আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করছি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়েই এ বিষয়ে হাইকমান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’