পটুয়াখালী জেলার সার্কিট হাউস চত্বর–সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থাপিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আজ ভোরে তোলা
পটুয়াখালী জেলার সার্কিট হাউস চত্বর–সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থাপিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আজ ভোরে তোলা

পটুয়াখালীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন, ছাত্রলীগ নেতার ভিডিও শেয়ার

পটুয়াখালীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার ভোরে জেলার সার্কিট হাউস চত্বরসংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থাপিত ওই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কাপড়ে মুখ ঢেকে এক ব্যক্তি জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জুলাই স্মারক নামের নোংরা জিনিস পটুয়াখালীর পবিত্র মাটিতে থাকতে পারে না।’
ছাত্রলীগ নেতার ওই পোস্টে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার সমর্থন জানান কয়েকজন অনুসারী। কানিজ আরেফিন সিদ্দিক ও সবুজ মাহামুদ মন্তব্য করেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, যে গণ-অভ্যুত্থানে পটুয়াখালীর ২৫ জন শহীদ এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন, সেই শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়াটা অবশ্যই দুঃখজনক।

তোফাজ্জেল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, স্মৃতিস্তম্ভটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলার গুরুত্বপূর্ন কর্মকর্তাদের বাসভবন ও সার্কিট হাউস–সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত। এমন গুরুত্বপূর্ন স্থানে গিয়ে আগুন দেওয়াটা ভাবনার বাইরে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেছেন তিনি।

দুর্বৃত্তরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় আটক করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কিশোর রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্মৃতিস্তম্ভটি লোহার হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে।