
চট্টগ্রামের আবদুল জব্বারের বলীখেলা এই অঞ্চলের প্রাণস্পন্দন। এই বলীখেলা ও মেলাকে ঘিরে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক কিংবা শৌখিন চিত্রগ্রাহকও ছুটে আসেন লালদীঘির মাঠে। আজ শুক্রবার জব্বারের বলীখেলায় প্রথমবারের মতো এসেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে বলীখেলার রিংয়ের আশপাশে মোশাররফ করিমকে দেখে সাধারণ মানুষজন উৎসুক হয়ে ওঠেন। তিনি একটি বিজ্ঞাপনের কাজে এসেছেন বলে মেলা কমিটি সূত্রে জানা গেছে। মোশাররফ করিমের গলায় ঝুলছিল গ্রামীণফোনের একটি পরিচয়পত্র।
একপর্যায়ে বলীখেলা কাভার করতে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মী এবং মেলার স্বেচ্ছাসেবকদের কেউ কেউ মোশাররফ করিমের সঙ্গে ছবি তোলার আবদার করেন, তুলেছেনও। কথাও বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গেও। মোশাররফ করিম বলেন, ‘বলীখেলা বা কুস্তি খেলা আমাদের ঐতিহ্যগত একটা খেলা। চট্টগ্রামে ১১৬ বছর ধরে এটা হচ্ছে, সত্যি বিস্ময়কর। আগে কুস্তি খেলা সব জায়গায় হতো। পুরান ঢাকায়ও হতো। কিন্তু এখন হয় না। চট্টগ্রাম এটা ধরে রেখেছে।’
১১৬ বছর ধরে বলীখেলা হলেও আগে কখনো মোশাররফ করিম আসেননি চট্টগ্রামে। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে এবার প্রথম বলীখেলায় আসা। ভালো লাগছে।’
মোশাররফ করিম যোগ করেন, ‘চট্টগ্রাম আামার প্রিয় শহর। খুবই ভালো লাগে। আশপাশটাও ভালো লাগে। একসময় শুটিং করেছি চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন লোকেশনে—রাউজান, কর্ণফুলী নদী, ভাটিয়ারিতে।’
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালে বকশিরহাটের সওদাগর আবদুল জব্বার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে বলীখেলার প্রচলন করেছিলেন। এবার বলীখেলা পা রাখল ১১৬ বছরে। মাঝখানে তিন বছর করোনা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। বলীখেলাকে ঘিরে তিন দিনের বৈশাখী মেলা বসে লালদীঘি মাঠ ও আশপাশের এলাকায়।