
কুড়িগ্রাম জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণার পর যুগ্ম সদস্যসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস (যুথি) পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পদত্যাগপত্রে জান্নাতুল ফেরদৌস উল্লেখ করেন, ১৬ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি এক বিবৃতির মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। এতে সম্মতি না নিয়ে তাঁকে যুগ্ম সদস্যসচিবের পদ দেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্ত থাকলেও কোনো রাজনৈতিক বা অর্ধরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী নন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন।
পদত্যাগপত্রটি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর পাঠানো হয়। পদত্যাগপত্রে অনুমতি ছাড়া তাঁর নাম ব্যবহার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি ভবিষ্যতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে তাঁর আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না বলেও স্পষ্ট করেন।
যোগাযোগ করলে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের অরাজনৈতিক দাবি করলেও বাস্তবে তারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই কাজ করছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন না এবং আপাতত রাজনীতিতে জড়ানোর ইচ্ছা নেই। এ জন্য তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানতে চাইলে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যসচিব খন্দকার আল ইমরান বলেন, ‘প্রথমত, তাঁর (জান্নাতুল ফেরদৌস) সম্মতিতেই তাঁকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কিন্তু একটি বাম দলের নেতার সঙ্গে তাঁর সখ্য থাকায় তাঁরই প্ররোচনায় তিনি (জান্নাতুল ফেরদৌস) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মনগড়া।’
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিবৃতির মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।