
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের সময়সীমা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রোববার পর্যন্ত মোট ৩৮৭টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিনে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে দিনভর বিক্ষোভ ও উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে এখনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাঁদের ভোটাধিকার দেওয়া হবে কি না, তা জানতে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল মনোনয়ন বিতরণের শেষ দিনে বিক্ষোভের কারণে অনেকেই ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে মনোনয়ন নিতে পারেননি। তাই আজ ও আগামীকাল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাকসু নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতবিনিময় সভা হয়। সভায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানাতে আগামীকাল পর্যন্ত সময় নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সর্বশেষ সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী গতকাল মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন ছিল। তবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের দাবিতে সকাল থেকে রাকসুর কার্যালয়ে অবস্থান করে ছাত্রদল। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা একটি চেয়ার ভাঙচুর ও ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরাও বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে চার ঘণ্টা মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম চলে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ৩৮৭টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে ৩১৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের পাঁচটি পদে ৬৯টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৬ ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ৮ জন নাম ও পদ উল্লেখ করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি প্যানেল নাম ও পদ উল্লেখ না করে মনোনয়নপত্র তুলেছে।