মাগুরায় বাড়ির সবাইকে অচেতন করে টাকা-সোনা লুট

চুরি
প্রতীকী ছবি

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার একটি বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে টাকা, সোনাসহ বাড়ির মূল্যবান মালামাল লুট করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিন্দি গ্রামে হিমাংশু শিখর রায়ের (৮৫) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার ওই বাড়ির বাসিন্দাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর বিকেলে তাঁদের চেতনা ফিরলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

হিমাংশু শিখর রায় বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ শ্রীপুর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি। ঘটনার সময় বাড়িতে তিনি, তাঁর ভাই কিশোর কুমার রায় (৭২) ও তাঁর স্ত্রী চন্দনা রায় (৬০) ছিলেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হিমাংশু শিখর রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় একজন চিকিৎসক এসে তাঁকে চিকিৎসা দেন। পরে রাতে খাবার খাওয়ার পর বাড়িতে থাকা তিনজনই (হিমাংশু, কিশোর ও চন্দনা) অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে একই পরিবারের তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের চেতনানাশক কোনো কিছু দিয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বিকেল নাগাদ তাঁদের সবারই জ্ঞান ফিরে আসে। এখনো তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

কিশোর কুমার রায়ের মেয়ে অনন্যা রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে বাবার বাড়ি গিয়ে দেখি আমার মা, বাবা ও জেঠু তিনজনই অচেতন। আমরা দ্রুত তাঁদের মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করি। এ তিনজনের মধ্যে আমার বাবা বেশি অসুস্থ। তিনজনেরই জ্ঞান ফিরেছে, তবে কথা বলার অবস্থায় নেই। মায়ের যে গয়না ছিল, সেগুলো নেই। বাড়ি থেকে নগদ অর্থসহ আরও মূল্যবান জিনিস খোয়া গেছে। তবে কী কী খোয়া গেছে, তা তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠলে জানা যাবে।’

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী আজ বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা ওই বাড়ির সবাইকে চেতনানাশক কিছু দিয়ে অচেতন করে চুরি করা হয়েছে। তবে বাড়ির সবাই যেহেতু অসুস্থ, তাই এ বিষয়ে কোনো মামলা এখনো হয়নি। তাঁরা সুস্থ হলে মামলা হবে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’