ফেনীতে রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে রেলপথে ফেলে রেখে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের মহেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রেলওয়ের টহলদলের সদস্যরা দেখতে পেয়ে দ্রুত গাছ সরিয়ে নেন। এতে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে বলে জানিয়েছেন রেল পুলিশ।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, কার্যক্রম ‘নিষিদ্ধ একটি রাজনৈতিক দলের’ ডাকা কর্মসূচিতে নাশকতা রোধে বুধবার রাতভর টহল দেয় রেলপুলিশ ও রেল বিভাগের কর্মচারীরা। রাতের অন্ধকারে একদল দুর্বৃত্ত রেললাইনসংলগ্ন কয়েকটি গাছ কেটে রেলপথের ওপর ফেলে যায়। আজ ভোরে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের টহলদল মহেশপুরসংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের ওপর গাছের গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখে। পরে দ্রুত সেগুলো সরিয়ে নেন টহল দলের সদস্যরা। ওই সময়ের মধ্যে ট্রেন চলাচল না করায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (জিআরপি) ইনচার্জ দীপক দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা রেলপথের পাশে থাকা গাছ কেটে লাইনের উপড়ে ফেলে নাশকতার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ফেনী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. হারুন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনী অংশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আজ দুপুর এখন পর্যন্ত ট্রেনের কোনো শিডিউল বিপর্যয় হয়নি।
এর আগে ৮ নভেম্বর ভোরে ফেনী পৌর এলাকার দক্ষিণ সহদেবপুর অংশে রেলপথের যন্ত্রাংশ খুলে নাশকতার চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা। দ্রুত লাইনগুলো মেরামত করে ট্রেন চলাচল উপযোগী করলেও এতে বেশ কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছিল।
এদিকে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন সমর্থনে বুধবার মধ্যরাতে শহরের বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ যুবককে আটক করেছে।
আটক যুবকেরা হলেন দাগনভূঞার মোমারিজপুর এলাকার মজিবুর রহমান (২০), একই উপজেলার শান্ত (১৯), রিয়াতি (২১), ইমন (১৯), নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এলাকার জিহাদ (২১) ও উপজেলার আরিফ (২৫)।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুজ্জামান ৭ যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে ঝটিকা মিছিলের পর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক যুবকদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল রাতে ফেনী সদরে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শামছুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।