Thank you for trying Sticky AMP!!

খোলেনি ওষুধের দোকান, কাজে ফেরেননি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পর খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনে জটলা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দোকান খোলেননি ওষুধ ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাও সেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন।

ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ব্যবসায়ীরা চাইছেন সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করতে।

সোমবার রাত ৯টার দিকে ওষুধ কেনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ শিক্ষার্থী ও ৯ ওষুধ ব্যবসায়ী আহত হন।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মবিরতি শুরু করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।

আজ বুধবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদার প্রথম আলোকে বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে ফেরেননি। তবে চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অধিকাংশ ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই রোগীদের ভোগান্তিও কম। হয়তো অল্প কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালের সামনের দোকান বন্ধ থাকলেও আশপাশের বয়রা বা সোনাডাঙ্গা এলাকার সব ওষুধের দোকান খোলা আছে।

সকালে কয়েক ওষুধ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, তাঁরা কোনো ধর্মঘট পালন করছেন না। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, দোকান খুললে শিক্ষার্থীরা আবারও হামলা করতে পারেন। আজ বিকেলে ওই ঘটনায় দুই পক্ষকে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের বসার কথা আছে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ দেবেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, হাসপাতালের সামনের বিপ্লব মেডিসিন কর্নার নামের একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যান প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। কিন্তু ওই দোকান থেকে ওষুধটির দ্বিগুণ দাম চাওয়া হয়। এটা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন দোকানের কর্মচারীরা। পরে ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলে এসে অন্যদের বিষয়টা জানান।

পরে কয়েক শিক্ষার্থী মারধরের কারণ জানতে ওই দোকানে গেলে অন্য ব্যবসায়ীরা তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করেন।

ওষুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, ওই শিক্ষার্থী ৭০ টাকার ওষুধ কেনার পর মোট দামের ওপর ১০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন। তবে দোকানদার ওই কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে ওই দোকানে ভাঙচুর চালান।