Thank you for trying Sticky AMP!!

‘৫৪ আসনের বাসে যাত্রী ছিলেন কমপক্ষে ৬০ জন’

মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটিতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী ছিল

মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটিতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে তিনি দুর্ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

Also Read: ‘এক্সপ্রেসওয়েতে এত বড় দুর্ঘটনা আগে কেউ দেখেনি’

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শিপলু আহমেদ বলেন, গাড়িটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিল। এমনকি ইঞ্জিন কাভারটিও যাত্রীতে ভরা ছিল। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি ৫৪ আসন বিশিষ্ট একটি বাস ছিল। প্রতিটি আসন ও সামনের ইঞ্জিনের কাভারের যাত্রী মিলিয়ে বাসটিতে কমপক্ষে ৬০ জন ছিলেন। এর মধ্যে যাঁরা সামনের দিকে বসেছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন।

Also Read: ‘এক্সপ্রেসওয়েতে চাকা ফেটে বাসটি উড়ে খাদে পড়ে যায়’

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি সকাল পৌনে আটটার দিকে। আধা ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বাসটির ভেতর থেকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করি। গুরুতর অনেক যাত্রীকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালে পাঠায়। লাশগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।’ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করেছে। তাদের উদ্ধারকাজ শেষ। বাসের ভেতরে আর কোনো যাত্রী নেই বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

Also Read: এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

সকালে শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম বলেন, এ দুর্ঘটনার কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটি, অতিরিক্ত গতি ও সামনের ডান পাশের চাকা ফেটে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

Also Read: ছবিতে মাদারীপুরের দুর্ঘটনা