অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আজ বুধবার বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে জুলাই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
নির্বাচন বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের প্রেস উইংয়ের বক্তব্যে আপনি দেখেছেন, জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ও ঐকমত্য কমিশনের যে বৈঠক, সেখানে একটা ঐকমত্যে আসা গেলে নির্বাচনের প্রস্তুতি আরও দৃঢ় হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট চুরি হয়েছে, কেন্দ্র দখল হয়েছে। উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন—এসব জায়গায় যেসব পদ খালি হয়েছে, সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা দুই-তিনটি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের স্বাভাবিক কাযক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে না দেওয়ার কারণ হিসেবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা পরিচালনা করার জন্য আমাদের ওই পরিমাণ কর্মকর্তা নেই। ফলে ভেঙে দিলে জাতীয় সংকট তৈরি হবে। সে কারণে ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়নি। যাঁরা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁরা পালিয়ে গেছেন। সেই জায়গাগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনটা আগে করতে। দলগুলোর ঐকমত্য না হওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।’
রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, ‘বরাদ্দ কিংবা বাজেটের কথা বলছেন, দীর্ঘদিনের একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসব ঘটনা ঘটেছে। এই নীতি থেকে সরকার বের হয়ে এসেছে। স্থানীয় সরকার থেকে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছি। এটা এক দিনে বা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। সদিচ্ছা থাকলে ধীরে ধীরে সমাধান হয়ে আসবে।’
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার আবু সাইম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পরে রংপুর স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে জুলাই ৩৬ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন গঙ্গাচড়া উপজেলা ও রানার্সআপ সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।