
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো উড়োজাহাজে বোমা বা বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া গেলে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া এবং বোমা নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তার অনুশীলন হয়।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, ছিনতাই, অগ্নিনিরাপত্তা ও বোমা হামলার নানা ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য প্রতি দুই বছর পরপর এই মহড়ার আয়োজন করা হয়।
মহড়ায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বেসামরিক বিমানবন্দরের উচ্চতর সক্ষমতার জন্য মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হয়। মহড়ার মূল উদ্দেশ্য যেকোনো জরুরি অবস্থায় বিমানবন্দরের সব সংশ্লিষ্ট সংস্থার মধ্যে বাস্তবসম্মত কাজের ইঙ্গিত প্রদান ও সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি যাচাই। এ ছাড়া এই মহড়া সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি সদ্য যোগদান করা সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর মো. আসিফ ইকবাল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা সবাই দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরকে আরও নিরাপদ ও যাত্রীসেবার মানকে আরও উন্নত করতে সক্ষম হব।’
মহড়ায় দুবাই থেকে আসা একটি উড়োজাহাজে বোমা রয়েছে, এমন খবর পাওয়ার পর কীভাবে তা নিরাপদ করা হয়, তা দেখানো হয়। প্রথমে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল উড়োজাহাজ থেকে দুটি বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে। এরপর উড়োজাহাজের যাত্রীসহ ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহড়ায় বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বুদ্ধি খাটিয়ে একযোগে সুসমন্বয়পূর্ণভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দলগত কাজ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রক্রিয়া সফল হয়েছে। মহড়ায় ইউনিট কমান্ডারদের মধ্যে সহযোগিতার দৃঢ় সংহতি লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া মেডিকেল টিম দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করেছে।
মহড়ায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব, বাংলাদেশ আনসার, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ–ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগ প্রশাসন, বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম, শাহ আমানত মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ অনেকগুলো সংস্থা অংশ নেয়।
নিরাপত্তা মহড়ার জন্য শেষ পর্যন্ত কোনো বেসামরিক বিমান না পাওয়ায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় বিমানবাহিনীর এয়ারক্রাফট এএন-৩২ এবং সামরিক হেলিকপ্টার এমআই-১৭–এর মাধ্যমে মহড়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে।