বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে সড়কে পড়ে আছে ইজিবাইকটি। আজ শনিবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার খোসালপুর এলাকায়
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে সড়কে পড়ে আছে ইজিবাইকটি। আজ শনিবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার খোসালপুর এলাকায়

দিনাজপুরে রাসমেলায় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, নানি-নাতনিসহ নিহত ৪

দিনাজপুর সদর উপজেলায় মিনিবাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের খোসালপুর (গম গবেষণা কেন্দ্রসংলগ্ন) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।

এই চারজন হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের সাদিয়া আক্তার (১৫), সদর উপজেলার খানপুর কুতৈর এলাকার মর্জিনা খাতুন (৫৫), তানজিনা বেগম (৩৫) ও শাম্মী আক্তার (৭)। মর্জিনা খাতুন ও সাদিয়া আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি। তাঁরা সপরিবার দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দিরে রাসমেলায় যাচ্ছিলেন।

খোসালপুর এলাকার চা–দোকানি কামাল হোসেন বলেন, গতকাল দুপুরে বীরগঞ্জ থেকে দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল মিনিবাসটি। বিপরীত দিক থেকে ইজিবাইকটি আসছিল কাহারোল কান্তনগরের দিকে। খোসালপুর এলাকায় মিনিবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ইজিবাইক থেকে কয়েকজন যাত্রী ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। মিনিবাসটি তাঁদের চাপা দিয়ে সামনের দিকে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে মিনিবাসটিকে আটক করে। ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

ইজিবাইকে থাকা মকবুল হোসেন (৭৯) বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে রাসমেলায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। গম গবেষণা কেন্দ্রের অফিস পার হওয়ার পর সামনে থেকে একটি মিনিবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এরপর কী হয়েছে, কিছু বলতে পারছেন না তিনি।

দিনাজপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজনের মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। স্থানীয় লোকজন মিনিবাসটিকে আটক করেছেন। তবে গাড়ির চালক ও সহকারী পলাতক আছেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।’