পঞ্চগড়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন এ বি এম আখতারুজ্জামান। রোববার দুপুরে
পঞ্চগড়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন এ বি এম আখতারুজ্জামান। রোববার দুপুরে

পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতার কাছে চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতা এ বি এম আখতারুজ্জামানের কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আজ রোববার দুপুরে পঞ্চগড় শহরের নিমনগর এলাকায় ‘স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আখতারুজ্জামান শহরের রওশনাবাগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ‘স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে আখতারুজ্জামান বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া এলাকায়। সেখানে তিনি পৈতৃক জমিতে চা–বাগান গড়েছেন। ওই এলাকায় তিনি তাঁর অন্য ভাইদের সঙ্গে নিয়ে একটি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চা–কারখানা করার খবর জেনে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি তাঁদের কাছে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আখতারুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের কাপাসিয়ায় একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থেকে মুরগি ব্যবসার সিন্ডিকেটের হোতা ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকায় ফিরে খোলস পাল্টেছেন। বর্তমানে সদর উপজেলার হালুয়াপাড়া এলাকায় মব তৈরি করে তাঁদের পৈতৃক জমিজমা দখলের চেষ্টা করছেন। তাঁদের কিছু জমি দখলে নিয়ে সেখানে বাংকার খুঁড়ে লোকজন নিয়ে তাঁকে হত্যার জন্য অবস্থান করছেন। তিনি আগে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ‍ছিলেন। আবার নির্বাচন করবেন, এর জেরে তাঁরা এসব ষড়যন্ত্র করছেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি একজন জাতীয় চা পুরস্কারপ্রাপ্ত চা–চাষি হয়েও বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জাহাঙ্গীর আমাদের বংশের কোনো ওয়ারিশও নন। কোনো ধরনের কাগজপত্র না থাকলেও জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করার চেষ্টার পাশাপাশি আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।’ এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আখতারুজ্জামান ও তাঁরা একই বংশের। কিন্তু তাঁদের জমি দখলে রেখে গরিব বানিয়ে তাঁরা বংশের পরিচয় দিচ্ছে না। তাঁদের পূর্বপুরুষেরা ভারতের বাসিন্দা ছিলেন। আখতারুজ্জামান সম্পর্কে তাঁর ভাতিজা। তাঁদের কাছে জমি পান। তাঁরা এখন বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে তাঁদের জমি বুঝে দিচ্ছেন না। এটার জন্য তাঁরা বাঁটোয়ারা মামলা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ করা, চাঁদা চাওয়া ও হত্যার হুমকির যেসব কথা বলা হচ্ছে, তার সবই মিথ্যা ও বানোয়াট।