মেহেরপুর–২ আসনে জাভেদ মাসুদকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা মিছিল করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী শহরে
মেহেরপুর–২ আসনে জাভেদ মাসুদকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা মিছিল করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী শহরে

মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদকে (মিল্টন) মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁর সমর্থকেরা। এর আগে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বলেন, দলের দুঃসময়ে জাভেদ মাসুদ সব সময় নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রমে সক্রিয় থেকে তৃণমূল নেতা–কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন। এই আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে তাঁকে মনোনয়ন দিতে হবে।

সভায় বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়াল এবং গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা। যৌথ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এটি গাংনী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বিএনপি গত সোমবার জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। মেহেরপুর–১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদ অরুন। আর মেহেরপুর–২ (গাংনী) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এর পর থেকে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তাঁর সমর্থকেরা। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাংনী বাসস্ট্যান্ডে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।

এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে এই আসন বিএনপির দখলে ছিল। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুত্ব বুঝে মনোনয়ন দিয়েছে। অযথা হাঙ্গামা করে মনোনয়ন বাতিল করা যাবে না।’