
নরসিংদীর শিবপুরে টিউশনির বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে অপহরণের শিকার এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ছুরি ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন।
অপহৃত ওই কলেজছাত্রের নাম সাইফুল ইসলাম (২৬)। তিনি রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকার মো. বাইতুল মুকাদ্দাসের ছেলে। গ্রেপ্তাররা তিনজন হলেন, পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বাড়ারচর এলাকার ইফতিয়ার (২০) ও চরনগরদী এলাকার সিজান (১৯) এবং শিবপুর উপজেলার খড়িয়া এলাকার নাঈম (১৮)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র ফেসবুকে টিউশনির বিজ্ঞাপন দিয়ে অপহরণ করে আসছিল। প্রথমে চক্রটি ফেসবুকে বিভিন্ন পেজের মাধ্যমে ‘শিক্ষক প্রয়োজন’ বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেখে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে তাঁকে ইনবক্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎ করতে বলে। এমনই একটি বিজ্ঞাপন দেখে ইনবক্সে ওই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এলএলবি প্রথম বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম।
পুলিশের ভাষ্য, গতকাল শুক্রবার বিকেলে সাইফুলকে টিউশনির কথা বলে শিবপুরের বন্যার বাজার এলাকায় ডেকে নেন চক্রটির সদস্যরা। পরে চক্রের সদস্য ইফতিয়ার, সিজার ও নাঈম সেখান থেকে সাইফুলকে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দি ও খড়িয়া গ্রামের মধ্যবর্তী খালপাড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আটকে রেখে মারধর করে সঙ্গে থাকা টাকা ও মুঠোফোন কেড়ে নেন অপহরণ চক্রের সদস্যরা। একপর্যায়ে সাইফুলের ব্যবহৃত মুঠোফোন দিয়ে তাঁর বাবা ও ভাইয়ের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় সাইফুলের পরিবার ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিস্তারিত জানান। খবর পেয়ে শিবপুরের থানা পুলিশ সাইফুলকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় খড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত সাইফুলকে উদ্ধার ও জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই তিনজনকে আসামি করে সাইফুলের মা বাদী হয়ে শিবপুর থানায় মামলা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসাইন বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা অপহরণের শিকার সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করেছি। মামলা হওয়ার পর দুপুরে গ্রেপ্তার অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’