দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দাউদকান্দি মডেল থানার এসআই মো. মহসীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দাউদকান্দি মডেল থানার এসআই মো. মহসীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে

দাউদকান্দিতে এসি ল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার, ভূমি (এসি ল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, এতে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এসি ল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মো. হাসান নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে গ্রামের মাঠ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছিল। এতে আশপাশের কৃষিজমিগুলো ভেঙে ক্ষতিসাধন হচ্ছে—এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি (এসি ল্যান্ড) আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওত পেতে থাকা মো. হাসানের লোকজন রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাঁকে (এসি ল্যান্ড) রক্ষার সময় হামলায় থানার এসআই মো. মহসীনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের পাঁচ কর্মী আহত হন। আহত ব্যক্তিদের দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে এসআই মহসীনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই হামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দলে থাকা ৫ পুলিশসহ ১০ জন আহত হন। হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন হাসানের স্ত্রী শেলীনা আক্তার ও শেলীনার চাচাতো বোন সাথী আক্তার। মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।