
নরসিংদীতে রেললাইন পার হওয়ার সময় আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী দম্পতি নিহত হয়েছেন। সোমবার বেলা তিনটার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের দগরিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই দম্পতির নাম আমিনুল ইসলাম জজ মিয়া (৬৩) ও আকলিমা বেগম (৪৫)। আমিনুল ইসলাম মনোহরদীর গজারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। কলেজপড়ুয়া ছেলেকে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা।
রেলওয়ে পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সোমবার সকালে আমিনুল ইসলাম ও আকলিমা বেগম দম্পতি মোটরসাইকেলে চেপে নরসিংদী শহরে একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিপড়ুয়া ছেলেকে দেখতে আসেন। ছেলের কলেজ এবং হোস্টেল দেখে দুপুরে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। বেলা তিনটার দিকে তাঁরা দগরিয়া এলাকার রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনে ছিটকে পড়ে ওই দম্পতি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর তাঁদের লাশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।
নিহত দম্পতির বড় ছেলে আশিক আহমেদ বলেন, তাঁরা দুই ভাই। তিনি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিপ্লোমা পড়ছেন আর ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান নরসিংদী ইনডিপেনডেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখতে ওই কলেজে গিয়েছিলেন মা–বাবা। ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মা–বাবা নিহত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইন পার হওয়ার সময় দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ফাঁড়িতে এসে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলোর হস্তান্তর চাইছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।