Thank you for trying Sticky AMP!!

কারমাইকেল কলেজের হোস্টেলে বহিরাগতদের হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হামলাকারীরা ছাত্রদের হোস্টেলের ভেতরে ঢুকে চেয়ার–টেবিল ভাংচুর করেছে। গতকাল শনিবার রাতে কারমাইকেল কলেজের জিএল হোস্টেলে

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের কারমাইকেল কলেজের ছাত্রদের হোস্টেলে বহিরাগতরা হামলা ও ভাঙচুর করেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জিএল হোস্টেলে (গোপাল লাল হোস্টেল) এ ঘটনা ঘটে। এতে হল মনিটর আকিমুল ইসলামসহ অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আকিমুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন। খবর পেয়ে রংপুরের তাজহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসের বাংলামঞ্চের সামনে দিয়ে মার্কেটিং বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান আহমেদ হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় বহিরাগত এক তরুণের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে বহিরাগতদের একটি দল আহসানের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে বহিরাগতদের ধাওয়া দিলে তাঁরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন বহিরাগত তরুণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে জিএল হোস্টেলে হামলা চালায়।

জিএল হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলাকারীরা একাধিক কক্ষে ভাঙচুর চালান এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ সময় হল মনিটর আকিমুল ইসলামসহ অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা আকিমুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন

হামলার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনসহ কয়েক দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে খবর পেয়ে তাজহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ক্যাম্পাসে আমার শিক্ষার্থী নয় আমার সন্তানদের ওপর হামলা করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে তাঁদের (হামলাকারী) চিহ্নিত করে মামলা করবে। শিক্ষার্থীদের যে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি, সেটিও আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করব।’

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদের বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।