Thank you for trying Sticky AMP!!

বেড়ানোর কথা বলে বন্ধুর সহায়তায় স্বামীকে হত্যা করে লাশ বালুচাপা

নিহত নাঈম হোসেন

বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী রেশমী খাতুন তাঁর স্বামী নাঈম হোসেনকে নিয়ে যান যমুনার চরে। পরে তাঁর বন্ধু মাসুদের সহায়তায় স্বামীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন। স্বামীর মরদেহ গুম করার জন্য তাঁরা দুজন বালুচাপা দেন চরে। রেশমী ও মাসুদ আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় তাঁদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Also Read: শিবগঞ্জে নারী আনসার সদস্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পরকীয়া: দাবি পুলিশের

নিহত নাঈম হোসেন (২০) ভূঞাপুরের মাইজবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। তাঁর স্ত্রী রেশমী খাতুন (১৮) পার্শ্ববর্তী রামাইল গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। রেশমীর বন্ধু মাসুদ (১৯) একই উপজেলার চরভরুয়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে।

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকায় রেশমী ও মাসুদের দেখানো স্থান থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে মাসুদ নিখোঁজ থাকার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রেশমী ও মাসুদকে গতকাল মঙ্গলবার আটক করা হয়। পরে ভূঞাপুর থানা-পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নাঈমকে হত্যা ও মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন। মঙ্গলবার রাতেই জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকায় তাঁদের দেখানো স্থান থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নাঈমের বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই রাতেই ভূঞাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

Also Read: স্বামীর পরকীয়া দেখে ফেলায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিহত নাঈমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাঈম ও রেশমী প্রায় তিন মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমীকে নিয়ে নাঈম রামাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে রেশমী নাঈমকে নিয়ে বিকেলে ঘুরতে বের হন। এরপর রাতে রেশমী বাবার বাড়িতে ফিরে জানান, তাঁর স্বামী নাঈম চলে গেছেন। এর পর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

Also Read: ‘পরকীয়া’র জেরে মেয়েকে ‘হত্যা’র অভিযোগে মা গ্রেপ্তার

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন জানান, আটকের পর রেশমী তাঁর বন্ধুর সহায়তায় স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁর বন্ধু মাসুদকেও আটক করা হয়। মাসুদও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানান। রেশমীর সঙ্গে মাসুদের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে তাঁরা দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

Also Read: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের বদলা নিতে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড