
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ও দিনাজপুর জিআরপি থানা–পুলিশ বিষয়টি প্রথম আলোক নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কলেজছাত্রের নাম মারুফ হোসেন। তিনি চিরিরবন্দর উপজেলার বড় বাউল গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে মারুফ দ্বিতীয়। মারুফ দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে মারুফ হোসেনসহ তাঁর কয়েকজন বন্ধু দিনাজপুরে যাচ্ছিলেন। চিরিরবন্দর স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনো স্টপেজ নেই। তবে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া কাঞ্চন এক্সপ্রেস ট্রেনের চিরিরবন্দর স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রসিং ছিল। তাই চিরিরবন্দর স্টেশন অতিক্রমের সময় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি কম ছিল। এ সময় মারুফ ট্রেনের ভেতরে থেকে মাথা বের করে উঁকি দিলে সিগন্যাল বারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনি চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন মারুফকে উদ্ধার করে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুঠোফোনে মারুফের চাচা আলাউদ্দিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিন আগে মারুফ তাঁর কলেজের বন্ধুর সঙ্গে একটি সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। ওই প্রতিযোগিতায় মারুফ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। গতকাল রাতে তাঁরা ট্রেনে উঠেছিলেন। আজ সকালে তাঁদের দিনাজপুর নামার কথা ছিল। তবে বাড়ির কাছাকাছি এসেই এ দুর্ঘটনা ঘটে গেল। হাসপাতাল থেকে মারুফের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিনাজপুর জিআরপি থানার উপপরিদর্শক জেসমিন আক্তার বলেন, দুর্ঘটনার পর নিহত মারুফের বন্ধুদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন, ট্রেনের গতি কমে গেলে মারুফ দরজার হাতল ধরে বাইরে উঁকি দিয়েছিলেন। এ সময় সিগন্যাল বারে মাথায় আঘাত লাগলে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।