ঘটনাস্থলে কাজ করছেন শেভরনের কর্মীরা। বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের শাসন উত্তর ইলাম গ্রামে
ঘটনাস্থলে কাজ করছেন শেভরনের কর্মীরা। বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের শাসন উত্তর ইলাম গ্রামে

অপরিশোধিত তেল সরবরাহের পাইপলাইনে দুর্বৃত্তদের ছিদ্র, ছড়িয়ে পড়া তেলে আগুন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেল সরবরাহের পাইপলাইনে দুর্বৃত্তদের ছিদ্র করার ঘটনায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ভুনবীর ইউনিয়নের শাসন উত্তর ইলাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন বসির মিয়া (৫০), তাঁর স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৭) ও ছেলে রেদোয়ান (২০)। বর্তমানে তাঁরা ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, শেভরনের কর্মীরা পাইপলাইনে থাকা অবশিষ্ট তেল সংগ্রহ করে ড্রামে ভরছেন। জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেভরনের এক কর্মচারী বলেন, দুর্বৃত্তরা ১২ ইঞ্চি পাইপ ছিদ্র করে তেল বের করার চেষ্টা করে। পরে পাইপের সেই ছিদ্র আর বন্ধ হচ্ছিল না। এ লাইনে অনেক প্রেশার থাকে। পরে ছিদ্রকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন বলেন, পাইপ থেকে তেল বের হয়ে ছড়ার পানিতে মিশে যায় এবং হাওরের দিকে যেতে থাকে। ছড়ার পানিতে মাছ ভেসে উঠলে অনেকে মাছ ধরতে নামেন। ওই সময় ভাসমান তেলে আগুন ধরে গিয়ে একই পরিবারের তিনজন গুরুতর দগ্ধ হন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সালেক মিয়া বলেন, এক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শেভরন বাংলাদেশের মিডিয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপক শেখ জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা পাইপলাইনে ছিদ্র করে তেল চুরির চেষ্টা চালায়। ফলে তেল ছড়িয়ে পড়ে ছড়ার পানিতে মিশে যায় এবং পরে পানির ওপর ভাসমান তেল থেকে আগুন ধরে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শেভরন বাংলাদেশ আহত ব্যক্তিদের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের শ্রীমঙ্গল স্টেশনের কর্মকর্তা সোলাইমান আকনজি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রথমে বলা হয়েছিল, বিদ্যুতের তারে আগুন লেগেছে। পরে গিয়ে দেখি, তেল থেকে আগুন লেগেছে। পরে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’