বন্যার পানিতে ডুবে থাকা সড়কে মাছ ধরছেন বাসিন্দারা। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীর হাট ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের সড়কে। গতকাল দুপুরে তোলা
বন্যার পানিতে ডুবে থাকা সড়কে মাছ ধরছেন বাসিন্দারা। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীর হাট ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের সড়কে। গতকাল দুপুরে তোলা

ফেনীতে বন্যায় নতুন করে আরও ১০ গ্রাম প্লাবিত

ফেনীতে বন্যায় নতুন করে আরও ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। নতুন করে প্লাবিত হওয়া গ্রামের মধ্যে চারটি ফেনী সদর উপজেলা, পাঁচটি ছাগলনাইয়া উপজেলা ও একটি দাগনভূঞা উপজেলায়। তবে সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে।

বন্যার কারণে পাঁচ উপজেলায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফেনী-ফুলগাজী ও ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ছোট আকারের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার ৮২টি আশ্রয়কেন্দ্রে আজ সকাল পর্যন্ত ৯ হাজার ২০০ বাসিন্দা অবস্থান করছেন। গতকাল রাত পর্যন্ত পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বন্যাকবলিত এলাকা থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী, অসুস্থসহ ১৮ জনকে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা উদ্ধার করেছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বাসিন্দারা জানান, গতকাল বিকেল থেকে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সন্ধ্যার পর দাগনভূঞা উপজেলার কিছু অংশেও বন্যার পানি বেড়ে যায়। এতে নতুন করে প্লাবিত হয় ফেনী সদরের ফাজিলপুর ইউনিয়নের দুটি ও মোটবি ইউনিয়নের দুটি গ্রাম; ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম এবং দাগনভূঞা উপজেলার একটি গ্রাম।

বন্যার পানিতে ডুবে আছে একটি ঘর। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীর হাট ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যায় ফেনীর পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার অন্তত ১০৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসমাইল হোসেন বলেন, গতকাল বিকেল থেকে নতুন করে তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে।

জানতে চাইলে ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার নিশ্চিতের পাশাপাশি বন্যায় জনদুর্ভোগ কমাতে সব অংশীজনকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কোনো এলাকায় সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হলে কিংবা না পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হবে।