
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাঁদাকাটি এলাকায় শনিবার দুপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক কলেজশিক্ষক নিহত হয়েছেন। এর আগে সকালে ফরিদপুরের সদরপুরে নছিমনের ধাক্কায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
আশাশুনির কাঁদাকাটি বাজার এলাকায় নিহত কলেজশিক্ষকের নাম গোলাম আযম (৪০)। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর এলাকায়। তিনি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ফসিয়া রহমান মহিলা কলেজের শিক্ষক।
ফিরোজ হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার সকালে গোলাম আযম উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করতে কলেজে গিয়েছিলেন। বেলা দুইটার দিকে তিনি কলেজ থেকে সাতক্ষীরায় ফেরার জন্য কাঁদাকাটি বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় পেছন থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল গোলাম আযমকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় মানুষেরা তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল আরেফিন জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুরের পূর্ব শ্যামপুর বাসস্টেশন মোড় এলাকায় নছিমনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত ওই স্কুলছাত্রের নাম মো. হামযা মোল্লা (১৫)। সে সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। হামযা মোল্লা উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের প্রবাসী সহিদ মোল্লার সন্তান।
স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাতে জানা যায়, হামযা মোল্লা মোটরসাইকেল চালিয়ে সদরপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা নছিমনের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। পরে ওই স্কুলছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুখদেব রায় জানান, খবর পেয়ে সদরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।