Thank you for trying Sticky AMP!!

নাটোরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

সাড়ে তিন মাস আগে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া স্ত্রী–সন্তানদের হত্যার অভিযোগ তুলে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে

নাটোরে অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী ও দুই সন্তান মারা যাওয়ার ১০৭ দিন পর স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনেরা।

গত ৭ মার্চ রাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খাকসা গ্রামের বাসিন্দা ট্রাকচালক মোহাম্মদ আলী ওরফে ওলির বাড়িতে আগুন লেগে পুরো বাড়ি পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী সুমা খাতুন (৩২), মেয়ে আফরিন মাহী (১০) ও ছেলে ওমর ফারুক (৪) মারা যান।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মোহাম্মদ আলীর বাড়ির ভিটায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা লিটন আহমেদ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন মোহাম্মদ আলীর চাচা খোদা বক্স, চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান, ভগ্নিপতি সানোয়ার হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আমজাদ খান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে লিটন আহমেদ অভিযোগ করেন, তাঁর চাচা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক গৃহবধূর পরকীয়ার কারণে চাচির সঙ্গে চাচার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। ৭ মার্চ রাতে ঘটনার দিন স্ত্রী-সন্তান আগুনে পুড়ে মারা গেলেও তিনি তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে যাননি। ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িঘর তৈরির জন্য নগদ টাকা ও উপকরণ দেওয়া হলেও তিনি বাড়ি নির্মাণ না করে বাইরে বাইরে থাকতেন। এমনকি ওই ঘটনার পর তাঁকে প্রতিবেশী নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে।

Also Read: ঘুমন্ত সন্তানদের বের করতে গিয়েছিলেন মা, আগুনে পুড়ে মরলেন তিনজন

লিটন আহমেদ বলেন, সর্বশেষ ১৪ জুন রাতে প্রতিবেশী ওই গৃহবধূকে নিয়ে পালিয়ে যান তাঁর চাচা মোহাম্মদ আলী। ওই গৃহবধূর স্বামী-সন্তানেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তাঁরা বিয়ে করে সংসার করছেন। এসব ঘটনা থেকে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস, মোহাম্মদ আলীর ষড়যন্ত্রে ৭ মার্চ রাতে বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। ওই আগুনে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। তাঁরা অভিযোগ তদন্ত করে মোহাম্মদ আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী নিখোঁজ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।