
দেশের বাজারে সবজির চাহিদা মেটাতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি বছর প্রথমবারের মতো ভারত থেকে কচুর মুখি আমদানি করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ভারত থেকে কচুর মুখিবোঝাই একটি ভারতীয় মিনি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
হিলি স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স লিয়াকত অ্যান্ড সন্সের মাধ্যমে মেসার্স রোশনি ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ১২ টন কচুর মুখি আমদানি করে। পরে বেলা সাড়ে তিনটায় মেসার্স আরবিএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে আরও ৯ টন কচুর মুখি আমদানি হয়।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এলাকা থেকে এসব মুখি আমদানি করা হয়। গত বছর ১৩ মে সর্বশেষ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসব মুখি আমদানি করা হয়েছিল বলে হিলি স্থল শুল্কস্টেশন সূত্রে জানা গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোশনি ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের স্থানীয় বাজারে এখনো দেশীয় জাতের কচুর মুখি ওঠেনি। ফলে বাজারে এখন কচুর মুখির চাহিদা বেশি। এ জন্য ভারত থেকে এসব মুখি আমদানি করা হচ্ছে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসব মুখি আমদানি করা হচ্ছে। এ বছর প্রথমবারের মতো আজ ভারত থেকে মেসার্স রোশনি ট্রেডার্সের নামে একটি মিনি ট্রাকে ১২ টন মুখি আমদানি করা হয়েছে। এসব কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা পাইকারি দরে ঢাকায় ট্রাকে করে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাশেদুল।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধকেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মেসার্স রোশনি ট্রেডার্স ও মেসার্স আরএসবি এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৫০০ টন কচুর মুখি আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি বছরে আজ প্রথমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কচুর মুখি আমদানি হয়েছে। মুখি আমদানির পর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দুটি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে পণ্যের ছাড়পত্র নিয়েছে।