
গাজীপুরের জয়দেবপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে ২৫ বছরের জন্য ইজারা (লিজ) দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ–মিছিল হয়েছে। স্থানীয় খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতারা এ কর্মসূচি পালন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
রোববার বেলা একটার দিকে গাজীপুর প্রেসক্লাব–সংলগ্ন স্টেডিয়ামের ফটক এলাকায় মানববন্ধন করেন জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাব, খেলোয়াড়, কোচ ও অভিভাবকেরা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দেশের অন্যান্য কয়েকটি স্টেডিয়ামের সঙ্গে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্মতি দেয়। মোট ১৫টি শর্তে স্টেডিয়ামটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। এখন এই ইজারা বাস্তবায়নের দাপ্তরিক কাজ চলছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খান জাহিদুল ইসলাম, মহানগর ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন তালুকদার, জেলা ক্রিকেট বোর্ডের কোচ আনোয়ার হোসেন জাহিদ (লিটন), কারাতে অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুরের সভাপতি মার্শাল শাহাজাদা, প্রভাতী স্পোর্টিং ক্লাবের সহসভাপতি শাহ সামসুল হক (রিপন), জয়দেবপুর ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রুবেল মণ্ডল এবং টঙ্গী ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন (সোহেল) প্রমুখ।
বক্তারা জানান, সব ধরনের খেলার জন্য শহীদ বরকত স্টেডিয়ামটি ব্যবহৃত হয়। সেখানে নিয়মিত বিভিন্ন ক্লাব বিভিন্ন ধরনের খেলা আয়োজন করে। তাই এই স্টেডিয়াম গাজীপুরের ক্রীড়া চর্চা ও উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টেডিয়ামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত।
গাজীপুর জেলা ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খান জাহিদুল ইসলামের ভাষ্য, শুধু ফুটবল খেলার জন্য বাফুফে এই মাঠ ইজারা নিয়েছে। এতে অন্যান্য খেলার সুযোগ কমে যাবে।
গাজীপুর মহানগর ক্রিকেট ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত ক্রীড়াবান্ধব সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বাংলাদেশে ফুটবল ছাড়াও অন্যান্য খেলা আছে। স্টেডিয়ামটি ইজারা না দিয়ে যেন জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার অধীন আগের মতোই চলতে দেওয়া হয়। ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিনের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন স্থানীয় খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতারা।