নাটোরের লালপুরের হালুডাঙ্গা মহাশ্মশান কালীমন্দিরে দুর্বৃত্তরা একটি কালীপ্রতিমা ভাঙচুর করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে
নাটোরের লালপুরের হালুডাঙ্গা মহাশ্মশান কালীমন্দিরে দুর্বৃত্তরা একটি কালীপ্রতিমা ভাঙচুর করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে

নাটোরে শ্মশানের কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

নাটোরের লালপুর উপজেলার হালুডাঙ্গা শ্রীশ্রী মহাশ্মশান কালীমন্দিরের একটি কালীপ্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে মন্দিরটিতে এ ঘটনা ঘটে।

মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ছাদযুক্ত পাকা মন্দিরটিতে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার মাটির তৈরি কালীপ্রতিমা ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় পুরোহিত সন্ধ্যাবাতি জ্বালিয়ে বাড়ি ফেরেন। আজ সকাল ছয়টার দিকে অর্পণ কুমার নামের একজন মন্দিরে গিয়ে কালীপ্রতিমাটি সম্পূর্ণ ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়লে মন্দির কমিটির নেতারা ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে জড়ো হন। পরে লালপুরের ইউএনও মেহেদী হাসান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

কালীমন্দির কমিটির সভাপতি নরেশ চন্দ্র মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যাবাতি জ্বালানোর সময়ও কালীপ্রতিমাটি ছিল। আজ সকালে আমার ভাতিজা অর্পণ কুমার মন্দিরে এসে দেখে, কালীপ্রতিমাটি ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মন্দিরে লোহার ফটক লাগানো আছে। দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে কোনো কিছু দিয়ে প্রতিমাটি টেনে এনে ভেঙেছে। তবে আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। কারা করেছে, তা পুলিশ তদন্ত করে বের করুক।’

লালপুর উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি দীপেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘আমরা সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মন্দিরটি মাঠের মধ্যে। শ্মশানের মন্দির হওয়ায় কোনো পাহারাদার থাকে না। সিসি ক্যামেরাও নেই। এখন পুলিশ তদন্ত করে বের করুক, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

লালপুর থানার ওসি মোমিনুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’