তিন মাসের সাজা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন ১০ বছর
ফেনীর সোনাগাজীতে যৌতুক আইনে হওয়া মামলায় তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড পেয়েছিলেন নাছির আহাম্মদ (৪৮)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে ১০ বছর তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে তিনি ধরা পড়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ এলাকার বাড়ি থেকে নাছির আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাছির আহাম্মদ পশ্চিম চর দরবেশ এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে।
থানা-পুলিশ জানায়, ২০১২ সালে যৌতুক আইনে নাছির আহাম্মদের বিরুদ্ধে তাঁর ফেনীর আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত মো. নাছির আহাম্মদকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আমির হোসেন বলেন, ফেনীর আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর নাছির আহাম্মদের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু তিনি ঢাকা-চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকায় তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন।
এএসআই মো. আমির হোসেন আর্য়েও বলেন, কয়েক দিন আগে নাছির আহাম্মদকে ধরতে তিনি তাঁর গ্রামের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন, নাছির আহাম্মদ চট্টগ্রামে থাকেন।
মাঝেমধ্যে রাতে বাড়িতে এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যান। ঈদের সময়ও বাড়িতে এসে দুই দিন থাকার পর আবারও চট্টগ্রামে চলে যান। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। সেই নম্বরের সূত্র ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম চর দরবেশ এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন বলেন, নাছির আহাম্মদ নামে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।