৩ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দুটি ১৪ হাজার ৪০০ টাকায় কিনেছেন এক ব্যবসায়ী। আজ বুধবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়
৩ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দুটি ১৪ হাজার ৪০০ টাকায় কিনেছেন এক ব্যবসায়ী। আজ বুধবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়

পদ্মার দুটি ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজার ও একটি পাঙাশ ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে সাড়ে তিন কেজি ওজনের দুটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। ইলিশ দুটি স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী ১৪ হাজার ৪০০ টাকায় কিনেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ইলিশ দুটি বিক্রি হয়।

স্থানীয় জেলেরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে জেলেরা পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলেন। রাতে স্থানীয় জেলে শাহাদত হোসেন হালদারের জালে দুটি বড় ইলিশ ধরা পড়ে। মাছ দুটি বিক্রির জন্য তিনি রাতেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আনেন। এ সময় ওজন দিয়ে দেখেন, ইলিশ দুটির ওজন ছিল ৩ কেজি ৬০০ গ্রাম। নিলামে বিক্রির জন্য তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছ দুটি কেনেন ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ।

এর আগে গত সোমবার সকালে দৌলতদিয়ার কলাবাগান এলাকায় পদ্মা নদীতে জেলে করিম হালদারের জালে প্রায় ৪ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের দুটি বড় ইলিশ ধরা পড়ে। ওই ইলিশ দুটিও কিনেছিলেন শাহজাহান শেখ; দাম পড়েছিল ১৯ হাজার ৭৫০ টাকা। পরে তাঁর কাছে থেকে লন্ডনপ্রবাসী এক ব্যক্তি ইলিশ দুটি ২০ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন।

আজ বুধবার সকালে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক শাহজাহান শেখ বলেন, গতকাল রাতে জেলে শাহাজাহন, খবির ও উসমানের জালে বড় কয়েকটি ইলিশ ধরা পড়ে। এর মধ্যে প্রায় ৩ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের দুটি ইলিশ তিনি ৪ হাজার টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার ৪০০ টাকায় কেনেন। এখনো ইলিশ দুটি বিক্রির জন্য তাঁর আড়ত ঘরে রাখা রয়েছে।

প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে

এ ছাড়া আজ সকালে ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ৩১ হাজার ৯০০ টাকায় কেনেন। পরে তিনি মাছটি ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

শাহজাহান শেখ বলেন, কয়েক দিন ধরে পদ্মা নদীতে বড় ইলিশ ও পাঙাশ ধরা পড়ছে। আজ সকালে ফেরিঘাটে আসা জেলে মোস্তফা শেখের জালে ধরা পড়া প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৩১ হাজার ৯০০ টাকায় কেনেন। পরে মাছটি পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কেজিপ্রতিতে ৫০ টাকা করে লাভে ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।