বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরার ট্রলার ডুবে এক বাবা ও তাঁর কিশোর ছেলে নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে উদ্ধার হওয়া এক জেলে জানিয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন জেলে মো. শামিম জোমাদ্দার (৪০) ও তাঁর ১১ বছরের ছেলে সিয়াম জোমাদ্দার। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা বাঁধঘাট বাজার এলাকায়। ওই ট্রলারে থাকা বাকি চারজন জেলে অন্য ট্রলারের জেলেদের সহায়তায় জীবিত উদ্ধার হয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া জেলের একজন শাওন হাওলাদার (২৪) বাবা-ছেলে নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত রোববার সকালে রাঙ্গাবালীর চরগঙ্গা বাঁধঘাট থেকে এমভি সিদ্দিক নামের একটি ট্রলার নিয়ে তাঁরা বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে যান। তাঁদের ট্রলারে মোট ৬ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন। দুই দিন মাছ ধরার পর বুধবার রাতে সাগরের পাইপবয়া (জেলেদের দেওয়া নাম) এলাকায় ট্রলার নোঙর করে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে ঝড় ও ঢেউয়ের তাণ্ডবে ট্রলারে নিচের অংশ ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়। এ সময় নিখোঁজ শামীমের বাবা মো. সিদ্দিক জোমাদ্দারসহ (৫৫) চার জেলে অপর একটি ট্রলারের মাধ্যমে উদ্ধার হন। শাওন ছাড়া উদ্ধার হওয়া বাকি দুই জেলে হলেন মো. রাব্বী (১৮) ও রাসেদ (২০)।
শাওন আরও জানান, অন্য জেলেদের সহযোগিতায় তাঁরা চারজন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে কুয়াকাটা বন্দরে ফিরে আসেন। এরপর তাঁরা কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে নৌ-পুলিশের উদ্ধার অভিযানের সক্ষমতা না থাকায় তিনি বাবা-ছেলে নিখোঁজের বিষয়টি মহিপুর কোস্টগার্ড ও রাঙ্গাবালী থানা-পুলিশকে অবহিত করেছেন।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নৌকা ডুবি ও দুজন নিখোঁজের বিষয়টি তিনি কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছেন।