‘ডোন্ট মিস এ বিট’ স্লোগানকে সামনে রেখে বগুড়ায় টিএমএসএস হার্ট সেন্টারের উদ্যোগে বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল সাইক্লিং প্রতিযোগিতা, ম্যারাথন দৌড়, সাতার প্রতিযোগিতা, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও শোভাযাত্রা। বগুড়া শহর থেকে শুরু হওয়া সাইক্লিং প্রতিযোগিতা মাটিডালি বিশ্বরোড হয়ে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়।
হার্ট দিবস উপলক্ষে টিএমএসএস হাসপাতাল চত্বর এবং বগুড়া শহরের সাতমাথায় দুটি হেলথ চেকআপ বুথে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এতে হৃদ্রোগ প্রতিরোধে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক পরামর্শসহ বিনা মূল্যে পরামর্শ প্রদান করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বগুড়া বিএমএর সভাপতি অধ্যাপক মো. আজফারুল হাবিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. মতিউর রহমান, টিএমএসএস হার্ট সেন্টারের প্রধান অধ্যাপক মো. মজিবর রহমান প্রমুখ।
এদিকে ‘সাঁতার কাটুন, হৃদয় সুস্থ রাখুন’—এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে পাঁচ তারকা হোটেল মমইন সুইমিংপুলে অনুষ্ঠিত হয় সাঁতার প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া টিএমএসএস হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। হৃদরোগ প্রতিরোধের বার্তা ছড়িয়ে বিশ্বরোড ও নওদাপাড়া হয়ে এ কর্মসূচি টিএমএসএস ক্যানসার সেন্টারে এসে শেষ হয়। এ ছাড়া নারী চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘বালিশ বদল’ বদল খেলা।
দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ও টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম। টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান গুলনাহার পারভীন, উপদেষ্টা আয়েশা বেগম, টিএমএসএস উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. মতিউর রহমান, পরিচালক (হাসপাতাল) এফ এম মুছা আল মানছুর, ডোমেইন প্রধান অধ্যাপক অনুপ রহমান চৌধুরী, হার্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. মজিবর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর দেশে হৃদ্রোগে মৃত্যু হয় প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষের। অথচ সচেতনতা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে ৮০ শতাংশ হৃদ্রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
বক্তারা হৃদ্রোগ ঝুঁকি এড়াতে ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ত্যাগ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও মানসম্পন্ন ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়াও যেকোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় টিএমএসএস হার্ট সেন্টারের কার্ডিয়াক সেবা, এনজিওগ্রাম, স্টেনটিং, প্রাইমারি পিসিআইসহ ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি, হার্ট ফেইলিউর ও অ্যারিদমিয়া, করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারির মতো উন্নত চিকিৎসা সুবিধার কথা তুলে ধরা হয়।