মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। শনিবার দুপুরে
মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। শনিবার দুপুরে

যতই হাঁকডাক দেন, দেশে ফিরতে পারবেন না: আমানউল্লাহ আমান

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার হলে শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বাংলার মাটিতে ফাঁসি হবে। কেউ তাঁদের রক্ষা করতে পারবে না। যতই হাঁকডাক দেন, দেশে ফিরতে পারবেন না। বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’

আজ শনিবার দুপুর ১২টায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে আমানউল্লাহ আমান এ কথাগুলো বলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ না থাকায় সম্মেলনে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা বারবার বলতেন, শেখ মুজিবের মেয়ে পালায় না। অথচ শেখ হাসিনা গোষ্ঠীসহ পালিয়েছেন। কারণ, তিনি হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছেন, গুম করেছেন, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছেন। তাঁর বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে তিনি জানতেন। এই কারণে তিনি পালিয়েছেন।’

এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। এ সময় খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন উপলক্ষে শহরজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে যায়।

জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছিল। সভাপতি পদে মাত্র একজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদেও মাত্র একজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এ কারণে দুটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৩১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি ন্যায্যতার ভিত্তিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নিয়ে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি শেষ করেছে। আহ্বায়ক কমিটি জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছে। তাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

সভাপতি জাভেদ মাসুদ বলেন, গত ১৭ বছরে জেলায় একটি বড় সভা করতে দেওয়া হয়নি বিএনপিকে। ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও সমমনা দলের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর মেহেরপুরের প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, পৌরসভায় কমিটি গঠন করা হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে। একটিও পকেট কমিটি গঠন করা হয়নি।

এর আগে ২০০৮ সালে কলেজ মাঠেই জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।