সাগরদত্তকাটি গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮-দলীয় হাডুডু টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার
সাগরদত্তকাটি গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮-দলীয় হাডুডু টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার

যশোরে হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিএনপি ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০

যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদত্তকাটি মধ্যপাড়া মাঠে হাডুডু টুর্নামেন্টে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছাত্রদল ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে যশোর ও খুলনায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে সাগরদত্তকাটি গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮-দলীয় হাডুডু টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ বাধে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ (৩২) মাথায় গুরুতর আঘাত পান। আহত হন বিএনপির কর্মী কামরুজ্জামান (২৮), আবু মুসা (২০), নয়ন (২১), রিয়াদ (২২) ও মাসুদ (২৩)। এ ছাড়া ছাত্রদলের সুমন (২৫), মইনুল (২৫) ও আলী হাসান (২৫) আহত হন। তাঁদের সবাইকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাসুদকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ ও সুমনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রদল কর্মী মাসুদকে বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই খেলায় পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন খেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন নিয়ে আয়োজকদের একটি পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণের সময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল আজিজকে মঞ্চে না ডাকা হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আবদুল আজিজ মাথায় আঘাত পান।

এ বিষয়ে মকবুল হোসেন বলেন, ‘খেলার উদ্বোধনের পর আমি সকালে উপস্থিত ছিলাম, কিন্তু সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে এ মারামারি হয়েছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

অন্যদিকে ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল আজিজের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল কর্মী মইনুল হোসেন বলেন, ‘মকবুল হোসেনকে দিয়ে খেলার উদ্বোধন করানো হলেও আজিজ ভাইকে কোথাও স্থান দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তবে আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংঘর্ষ শুরু হয়।’

এ বিষয়ে কেশবপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি। তবে ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি।’