নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর সাহাদত হোসেন ওরফে সজীব (১৪) নামের এক কিশোর মাদ্রাসাছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের কাশীপুর গ্রামের একটি অগভীর পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাহাদতের বাড়ি একই ইউনিয়নের কাশীপুর গ্রামে। তিনি স্থানীয় কাশীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার বাবা শওকত আলী মারা গেছেন। এ ঘটনায় একই মাদ্রাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেল থেকে সাহাদত নিখোঁজ ছিল। এ বিষয়ে তার পরিবার গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর থানা–পুলিশের একটি দল তদন্ত শুরু করে।
তদন্তের অংশ হিসেবে সাহাদতের বাড়ির পাশে একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, রোববার বেলা ৩টা ৫১ মিনিটে সাহাদত ও আটক কিশোর একসঙ্গে বাড়ির পাশের একটি নৌকায় চড়ে রুহুল আমিন ড্রাইভারের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। তবে সেদিন সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে আটক কিশোর একা নৌকায় করে ফিরে আসতে দেখা যায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, আজ সকালে পুকুরে লাশ উদ্ধারের পর ওই কিশোরকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তারা দুজন মিলে পাখির ছানা ধরতে গিয়েছিল। একটি গাছে উঠে সে পাখির ছানা ধরছিল আর নিচে সাহাদত ছিল। ফিরে এসে সে সাহাদতকে আর খুঁজে পায়নি এবং একাই বাড়ি ফিরে আসে। তবে এ ঘটনা সে কাউকে জানায়নি।
ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধারের সময় দেখা গেছে, সাহাদতের কপাল ও মাথার একাংশ থেঁতলানো এবং ডান চোখ আংশিক বেরিয়ে এসেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।